আজ বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২, ০৬:০০ অপরাহ্
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় সম্মেলনের জন্য প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে আহ্বায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য চয়ন ইসলাম। সদস্য সচিব করা হয়েছে সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদকে। রবিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
হারুনুর রশীদ বলেন, সংগঠনটির সদস্য হওয়ার নতুন বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ বছর।
এদিকে, যুবলীগের বৈঠক শেষে গণভবনে প্রেসব্রিফিংয়ের সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বলেন, যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য চয়ন ইসলামকে আহ্বায়ক এবং বর্তমান সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদকে সদস্য সচিব করে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি করা হয়েছে। যুবলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সবাইকে এই কমিটির সদস্য করা হয়েছে। আগামী ২৩ নভেম্বর যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেস হবে। তার আগ পর্যন্ত সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিই সংগঠনের সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে।
প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় যুবলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের অভিযোগ ওঠে। এ সময় যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়াসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানের সময় দুর্নীতি ও ক্যাসিনো সংশ্লিষ্ট যুবলীগ নেতাদের প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগওঠে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তার ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়। পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় তার দেশত্যাগেও।
এদিকে ওমর ফারুক চৌধুরীকে ছাড়াই গত ১২ অক্টোবর (শুক্রবার) বঙ্গবন্ধু এভিনিয়ে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠটির সভাপতিমণ্ডলীর সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে যুবলীগের তৎকালীন চেয়াম্যান জাহাঙ্গীর কবির নানক আওয়ামী লীগে পদ পাওয়াসহ মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পর ওমর ফারুক চৌধুরী সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। এরপর ২০১২ সালে যুবলীগের ষষ্ঠ কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অব্যাহতি পাওয়ার আগপর্যন্ত দীর্ঘ সাত বছর তিনি যুবলীগ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।