আজ মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০১:৩২ অপরাহ্

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হওয়ার সময় দলীয় নেতাদের ভূমিকা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এত বড় সংগঠন, এত নেতা কোথায় ছিল? মাঝেমধ্যে আমার এটা জানতে ইচ্ছে করে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।

১৫ আগস্ট দেশের বাইরে থাকায় সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যাওয়া বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সেদিনের হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে বলেন, এত বড় একটা ঘটনা, বাংলাদেশের কি কোনো লোক জানতে পারলো না? কেউ কোনো পদক্ষেপ নিল না! ওই লাশ পড়ে থাকলো ৩২ নম্বরে! কেন? সেই উত্তর আমি এখনো পাইনি। এত বড় সংগঠন, এত নেতা কোথায় ছিল? মাঝেমধ্যে আমার এটা জানতে ইচ্ছে করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ সাহসে ভর দিয়ে এগিয়ে আসতে পারলো না। বাংলার সাধারণ মানুষ তো বঙ্গবন্ধু মুজিবের সঙ্গে ছিল। হয়তো এই ব্যর্থতার খেসারত দিতে হয়েছে এই জাতিকে।

শেখ হাসিনা বলেন, তাকে (বঙ্গবন্ধু) আমরা পেয়েছিলাম দেশটা গড়ে তোলার জন্য। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা তখনো পাকিপ্রেমে মুগ্ধ, আর সেই সঙ্গে আমাদের দেশেও কিছু আছে তারা স্বাধীনতা পেয়ে এমনই বিভোর হয়ে গেলো যে, কেউ আর জাতির পিতাকে ওভাবে রক্ষা করবে, তার সেবাটা নেবে, সেই চিন্তা করতে পারেনি বলে ১৫ আগস্ট অমানিশার অন্ধকার আমাদের জীবনে আসে। আমরা দুটো বোন বিদেশে ছিলাম। ছয় বছর রিফিউজি আকারে থাকতে হয়েছিল।

তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য, বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলছিলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক সেই মুহূর্তে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। শুধু তাকে একা নয়, আমাদের পরিবারের সব সদস্যসহ আত্মীয়, পরিবার-পরিজন। একইসঙ্গে আমার মেজো ফুফু, সেজো ফুফু, ছোট ফুফুর বাড়ি সব বাড়িতেই তারা হানা দিয়েছে।

বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর দেশের অবস্থার কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘জাতির পিতাকে হত্যার পর বারবার ক্যু হয়েছে, ১৮-১৯টা ক্যু হয়েছে এদেশে। অত্যাচার-নির্যাতন চলেছে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর। সে সময় যদি কেউ সাহস করে দাঁড়াতো তাহলে তো এত অত্যাচার হতো না। বারবার ক্যু হতো না। একটা দেশকে সম্পূর্ণ ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

‘শুধু তাই নয়, যে আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন, যে বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ, সে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে চলে গিয়েছিল। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার জাতির পিতা শুরু করেছিলেন, বিচারের হাত থেকে রেহাই দিয়ে তাদের বসানো হয়েছিল ক্ষমতায়।

শেখ হাসিনা বলেন, ওই আলবদর, রাজাকার বাহিনী প্রধান, স্বাধীনতাবিরোধী, তারাই প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রিত্ব পেয়েছিল। বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ভুলুণ্ঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র করার প্রচেষ্টা একুশ বছর ধরে চলেছিল।

দেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শত বাধা-ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের মাতৃ মৃত্যুহার কমেছে, শিশু মৃত্যুহার কমেছে, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাংলাদেশে দারিদ্রের হার ২১ শতাংশ থেকে কমে ২০ শতাংশে নেমে আসার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে দেশ বলেছিল বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে কী হবে, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে একটা বটমলেস বাস্কেট হবে। আমার লক্ষ্য ১৮ শতাংশ থেকে এক শতাংশ হলেও কম করা হবে।

লক্ষ্য পূরণে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমি একটি অনুরোধ করবো সবাইকে। জীবনে কী পেলাম, পেলাম না সেই চিন্তা না। মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, কতটুকু দিতে পারলাম সেই চিন্তাটা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের থাকতে হবে।

এই মাটিতে কোনো চক্রান্ত সফল হবে না মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতাকে ব্যর্থ করতে চায়, ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে এই দেশকে যারা ক্ষতি করতে চায় বা তৈরি করতে চায়, আমরা তা হতে দেবো না। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এবং যিনি সারাজীবন ত্যাগস্বীকার করেছেন, তার ত্যাগ কোনোদিন বৃথা যেতে পারে না। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর বা পাকিস্তানি দালালচক্র যারা অন্তরে অন্তরে পাকিস্তান প্রেমে ভোগে, তাদের চক্রান্ত এই মাটিতে কখনো সফল হতে পারে না।

অর্থ-সম্পদ কেউ কবরে নিয়ে যেতে পারে না
অর্থের নেশা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থ সম্পদ কেউ কবরে নিয়ে যেতে পারে না। কিন্তু অর্থপ্রাপ্তি একটা নেশা। এটা একটা নেশার মতো হয়ে যায়। মানুষ অন্ধের মতো ছুটতে থাকে। তাতে পরিবার ধ্বংস হয়, ছেলেমেয়েরা বিপথে যায়, মাদকাসক্ত হয় বা ভিন্ন পথে চলে যায়। হুশ থাকে না। ছুটতেই থাকে।

তিনি বলেন, এই দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে যদি কেউ মুক্ত হতে পারে, আর দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ হতে পারে, তাহলে সেদেশে উন্নতি হয়, উন্নতি হবে। এটাই হলো বাস্তবতা।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

 
 
 

আরও পড়ুন

২০২০ সালে যে ১০টি দক্ষতা তরুণদের থাকা চাই

২০২০ সালে যে ১০টি দক্ষতা তরুণদের থাকা চাই

উত্তরায় শিশু হত্যার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

ইংল্যান্ডে চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা পাঁচে ‘ছিটমহল’

আবার কেউ অস্ত্রের ঝনঝনানি করতে চাইলে সম্মিলিতভাবে তাদের প্রতিহত করা হবে : ডিআইজি মোজাম্মেল

চোখে মুখে স্বপ্ন,ইচ্ছে বড় অভিনেতা হওয়া

‘খালেদা জিয়াকে বলি, আসুন দেখে যান পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়েছে কিনা’

আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেষ্টিভ্যালে পরিচালক এইচ আর হাবিব এর ‘ছিটমহল’

পদোন্নতিপ্রাপ্ত ডিআইজিদের প্রতি আইজিপি

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঐতিহাসিক তাৎপর্য বহন করে,,,, কচি

রাজধানী উত্তরায় ১নং ওয়ার্ডের উত্তরা পশ্চিম থানা যুবলীগের আয়োজনে দোয়া মাহফিল।

নামমাত্র মূল্যে দেশেই হচ্ছে কিডনি প্রতিস্থাপন

শহীদ মিনারে মুহিতের কফিনে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা

২০২০ সালে যে ১০টি দক্ষতা তরুণদের থাকা চাই

২০২০ সালে যে ১০টি দক্ষতা তরুণদের থাকা চাই

উত্তরায় শিশু হত্যার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

পঞ্চগড়ে পুলিশের অভিযানে ইয়াবা সহ ব্যবসায়ী আটক

বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের ১৯ জন কর্মকর্তাকে পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদে পদোন্নতি।

পঞ্চগড়ে ব্রিক ফিল্ডে ঢুকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, থানায় অভিযোগ –

চলছে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় মাদকের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান।

পঞ্চগড়ের মাদক রুট বন্ধে সফল অভিযান চলছে বোদা উপজেলায়

মাদকের বিরুদ্ধে সাড়াঁশি অভিযান অব্যাহত পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায়

বাংলাদেশী সিনেমার সালতামামি আশির দশক

উওরখানে সরকার নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ফ্যাক্টরিতে সয়লাব

গাজা উদ্ধার, গাজার ব্যাপারী ( পাইকার) গ্রেফতার

বিমানবন্দর ৩ কেজি গাজা সহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

 

Top
ব্রেকিং নিউজ :
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com