আজ মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০১:৫৪ অপরাহ্
সংবাদদাতা –
উত্তরায় সাইফুল ইসলামকে ব্যাংকে জমা দেবার জন্য বড় ভাই দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়েছেন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কাঁধের ব্যাগের কাপড়ের ভাজে টাকাগুলো লুকিয়ে রেখেছিলেন ।
সিএনজির ভাড়া মিটিয়ে কিছুদুর এগিয়ে তিনি বুঝতে পারলেন, মস্ত বড় ভুল করে ফেলেছেন। কাধের ব্যাগটা ফেলে এসেছেন সিএনজির সিটের পেছনে। ততক্ষনে সিএনজি চলে গেছে।অন্যান্য মানুষ এর মত তিনি ও সিএনজির নাম্বার দেখে নি। শুধু মনে আছে দুটি বিষয় ১. সিলভার রং এর প্রাইভেট সিএনজি ২. ড্রাইভারের ঈশৎ হলদে শার্ট।
সাইফুল ইসলাম হত-বিহবল হয়ে থাকেন কিছুক্ষন। টাকা ফিরে পাবার আশা ছেড়ে দিয়ে বসে পড়েন রাস্তার পাশে। হঠাৎ মাথায় আসে জরুরী সেবা পুলিশের এর কথা।
তৎক্ষনাৎ ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে খুলে বলেন পুরো ঘটনা। ৯৯৯ থেকে বিস্তারিত তথ্য পৌছে যায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কন্ট্রোলের মাধ্যমে সকল ক্রাইম ও ট্রাফিক ডিভিশনে। ঘটনা যেহেতু উত্তরা ডিভিশনে তাই ওয়্যারলেসের মাধ্যমে সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলা হয়। ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের সকল জোন চেকপোস্ট শুরু করে এয়ারপোর্ট গোলচত্তর সংলগ্ন এলাকায়।
প্রতিটি সিলভার রং এর প্রাইভেট সিএনজি চেক করা হতে থাকে। আর টিআই খাদেমুল ইসলামের নেতৃত্বে সার্জেন্টদের সতর্ক দৃষ্টি খুজতে থাকে কাঙ্ক্ষিত হলুদ শার্ট। আনুমানিক ১৬/১৭ টি সিএনজি চেক করার পরে হঠাৎ সার্জেন্ট ইব্রাহিম আর সার্জেন্ট জাকারিয়ার নজরে আসে একটি খালি সিএনজি আর চালকের পরনে থাকা হলুদ শার্ট। ব্যাগটা পাওয়া যায় গাড়ীর পেছনেই।
ইতিমধ্যে সাইফুল সাহেবকে এয়ারপোর্ট ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে আসতে বলা হয়। অল্প সময়ের মধ্যে উপস্থিত হয়ে তিনি নিজের ব্যাগ সনাক্ত করেন আর ফিরে পান ব্যাগে থাকা দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা।
এয়ারপোর্ট ট্রাফিক জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার জানায় ,
প্রতিদিন সাইফুল ইসলামের মত অনেকেই বিপদে পড়ছেন। বাংলাদেশ পুলিশ দ্রুত সময়ে সেবা নিশ্চিত করার জন্য জরুরী সেবা চালু করেছে, আমাদেরকে বিপদে মাথা ঠান্ডা রেখে সেবা গ্রহনে উদ্যোগী হতে হবে।
এটা কেবল একটা ঘটনা নয়, হাজারো ঘটনা সমাধানের পথ ।এই অভাবনীয় সাফল্যের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব আমার তিন সহকর্মী টিআই খাদেমুল ইসলাম, সার্জেন্ট ইব্রাহিম এবং সার্জেন্ট জাকারিয়ার ৷ আমি সৌভাগ্যবান তাদের সহকর্মী হিসেবে পেয়ে।