আজ শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ১০:১৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদদাতা –
নাটোরের লালপুর উপজেলার নওপাড়ায় ১০ বছরের এক শিশুকে নদীতে বাঁধা নৌকায় নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে পর্যায়ক্রমে বলৎকার করেছে ৪ যুবক। ওই সময় বলৎকারীদের একজন তার মোবাইল ফোনে বলৎকারের ভিডিও ধারণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে শিশুটিকে লালপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ওই শিশুর পিতা বাদী হয়ে লালপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।শিশুটির পিতা জানান, গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে তার ছেলে পানসিপাড়া গ্রামের বেগমতলার দক্ষিণ পার্শ্বে পদ্মা নদীর ধারে বন্ধুদের সাথে খেলতে যায়। এ সময় পানসিপাড়া গ্রামের মুস্তাকের ছেলে মাহাফুজ, রান্টুর ছেলে রিমন আলী, আব্দুর রহিমের ছেলে সেলিম, রেজাউলের ছেলে শিশির শিশুটিকে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে পদ্মা নদীর ঘাটে বাঁধা নৌকার ওপরে নিয়ে য়ায়। তারপর মুখ চেপে ধরে পালাক্রমে বলৎকার করে। এসময় শিশুটিকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। বলৎকারের ভিডিও শিশির নামের একজনের মোবাইলে ধারণ করে করা হয়। শেষে শিশুটির প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে শিশুটি ঘটনাটি তার বাবাকে জানালে তিনি বিষয়টি স্থানীয় দুড়দুড়িয়া ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেনসহ গ্রামের মাতবরদেরকে জানান। তারা শিশুকে বলৎকারের ভিডিও উদ্ধার করলেও বিষয়টি মীমাংসার জন্য কালক্ষেপণ করেন। পরে শিশুটিকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
গ্রামে বিচার না পেয়ে রবিবার (৪ অক্টোবর) লালপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ওই শিশুর বাবা ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আব্দুর রাজ্জাক শিশু মামুনকে সেক্সসুয়াল অ্যাসাল্ট করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শিশুটিকে বলৎকারের ভিডিওচিত্র তিনি নিজেও দেখেছেন।
এ ব্যাপারে লালপুর থানার ওসি সেলিম রেজা জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। আসামিরা পলাতক রয়েছে।