আজ মঙ্গলবার, ০৯ মার্চ ২০২১, ০৪:০৭ অপরাহ্
সংবাদদাতা –
ঝিনাইদহের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী উলফাত আরা তিন্নির মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত জামিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (৭ অক্টোবর) ভোর রাতে মাগুরা শহরের ভায়না এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, তিন্নির মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান আসামি জামিরুল মাগুরা থেকে অন্য কোথাও পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
গত পহেলা অক্টোবর রাতে নিজ ঘর থেকে তিন্নিকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিন্নির মেঝো বোন মুন্নির প্রাক্তন স্বামী জামিরুল তার বাড়িতে এসে অকথ্য ভাষার গালিগালাজ ও দলবল নিয়ে ভাংচুর করে। পরের দিন তার মা হালিমা খাতুন শৈলকুপা থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে ধর্ষণ ও আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা দায়ের করেন। এজাহারে অভিযোগ করা হয় জামিরুল তিন্নিকে ধর্ষণ করে। অন্য আসামিরা তাকে সহায়তা করে। আর এ দুঃখ ও অপমান সহ্য করতে না পেরে তিন্নি আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় প্রধান আসামিসহ এ পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। কুষ্টিয়া মর্গে তিন্নির পোস্টমর্টেম হয়। তবে রিপোর্ট এখনো পুলিশের হাতে এসে পৌঁছেনি।
এদিকে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার সোমবার রাতে এ প্রতিনিধির সাথে আলাপ কালে বলেছিলেন, ‘পোস্টমর্টেম রিপোর্টে তিন্নির ধর্ষণের আলামত মেলেনি। আত্মহত্যার আলামত পাওয়া যায়।’
শৈলকুপা থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, জামিরুলকে আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল। বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল ইসলাম জামিন না মঞ্জুর করেন। আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।