আজ রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন
মোঃ হাসান –
রাজধানীর উওরখান মাজার তালতলা রোড একটি করাত কলের বিপরীত পাশে, বসতী বাড়ির মধ্যে চলছে নিষিদ্ধ পলিথিন ফ্যাক্টরি।গত ৬ জুলাই সাংবাদ কর্মীরা এই ফ্যাক্টরির বৈধতা যাচাই করতে গেলে,কর্মরত কর্মচারীরা ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যায়নি।ঐ ফ্যাক্টরির নিকতম একজন প্রতিবেশী আমাদের জানান,এখানে মোট দুইটি পলিথিন ফ্যাক্টরি আছে। এমন অসংখ্য ফ্যাক্টরী ছড়িয়ে আছে পুরো ঢাকার বিভিন্ন স্থানে। উত্তরখান তার মধ্যে অন্যতম । এইসব ফ্যাক্টরিতে প্রতিনিয়ত ৫০ থেকে ৬০ জন শ্রমিক এখানে কাজ করে।প্রতিবেশীরা জানায় আবাসিক এলাকায় ফ্যাক্টরি হওয়ায় মেশিনের শব্দে, আমাদের ছেলে মেয়েরা পড়াশোনা করতে সমস্যা হয়। পরিবেশ নিয়ে কাজ করেন এমন বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন ক্রমাগত ফ্যাক্টরির বর্জ্যে এবং প্লাষ্টিক এর গ্যাসে আশে পাশে খুব বেশী পরিবেশ দূষণ হয়। এখানে উপস্থিত হয়ে তার সততা পাওয়া গেছে।
উত্তরখানে এই ফ্যাক্টরির পাশে বসবাসকারী অন্যজন বলেন,এই রকম বাসা বাড়ির মধ্যে এই ধরনের ফ্যাক্টরি কিভাবে চলে।সব সময়ই আমরা আতঙ্কে থাকি কোন ক্রমে আগুন ধরলে আশেপাশের সকল বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যাবে।আরেক জন প্রতিবেশী নাম না জানানোর শর্থে আমাদের প্রতিবেদকে জানান,এখানে শিশু শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হয়। এলাকার কিছু প্রভাবশালী নেতা আছে এরাই এই ফ্যাক্টরি শেল্টার দিয়ে রাখে। কিছুক্ষণ পর উওরখান থানার বিষয়টি জানালে,ঘটনাস্থলে এস আই সোলেমান আসেন।তিনি ফ্যাক্টরীর ভেতরে প্রবেশ করে। ফ্যাক্টরির কাগজপত্র চাইলে,ফ্যাক্টরি কতৃপক্ষ কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।পরবতীতে এই ফ্যাক্টরির মালিক মফিজকে থানায় কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলে এস আই সোলেমান। সংবাদ কমীরা ঘটনাস্থল থেকে চলে আসলে , নির্ভরযোগ্য একটি তথ্যের মাধ্যমে জানা যায় , আবার ঐ ফ্যাক্ট্ররীতে অজ্ঞাত কারণে এস আই সোলেমান উপস্থিত হয়েছিলেন । তবে কি হয়েছে তা সঠিক ভাবে জানা যায়নি।উওরখান থানার অফিসার ইনর্চাজ জানান,ফ্যাক্টরির মালিককে পাওয়া যাচ্ছে না।উনারা ফ্যাক্টরি বন্ধ করে চলে গেছে।কিন্তু সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে ফ্যাক্টরি চলছে। এই বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে উওরখান দায়িত্বে থাকা ইন্সপেক্টর মোসলেম উদ্দীন আমাদের প্রতিবেদকে জানান,এই ধরনের ফ্যাক্টরির কোন অনুমিত আমরা দেয়নি। আমরা খুব শীঘ্রই এই ফ্যাক্টরির বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট দিয়ে ব্যস্ততা গ্রহন করবো।