আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:৫৮ অপরাহ্
প্রতিনিধি –
রাজধানীর দক্ষিণখানে শাখাওয়াত হোসেন নামে এক কাঠ ব্যবসায়ীর নিকট ভূয়া পাওনা টাকার আদলে একটি বিল দিয়ে তাগাদার কৌশলে চাঁদা আদায় করছে সবুজ বালা নামের এক চাঁদাবাজ।
থানার সাধারণ ডায়েরি এবং শাখাওয়াত হোসেনের আশপাশের ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা যায়,
সবুজ বালা প্রথমে শাখাওয়াত হোসেন এর সাথে কাঠ কেনা বেচার একটি সম্পর্ক গড়ে। অতঃপর ৩,৫০,০০০/-( তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকার মাল ক্রয় করে। সেই মালামালের কাজের জায়গা নেই বলে নামে মাত্র ভাড়ায় শাখাওয়াত হোসেন সবুজ বালাকে কাজের জন্য জায়গা দেন। কিছুদিন কাজ করে ভাড়া পরিশোধ না করে পুরোনো দুইটি রান্দার মেশিন ফেলে পালিয়ে যায় সবুজ বালা। তার কিছুদিন পর ফোনে মেশিন ফেরত চাইলে শাখাওয়াত হোসেন তাকে সামনা সামনি বসে পাওনা দেনা মিটিয়ে নিয়ে যেতে বলেন। সবুজ বালা তাতে রাজি না হয়ে ভিন্ন কৌশল বেছে নেয়। প্রায় ১০ বছরের ম্যাশিন ভাড়া,ম্যাশিনের মূল্য এবং মালামালের একটি লিষ্ট পাঠায়। যেখানে মূল্য ধরা হয় প্রায় ২১ লক্ষাধিক টাকা। হিসেব দিয়েই সে তাগাদা শুরু করে টাকা দেবার জন্যে। আর সেই তাগাদায় অংশ নেয় গুলশান বাটারার চিহ্নিত চাঁদাবাজরা। যারা একটি রাজনৈতিক দলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা পরিচয়ে চালায় এই চাঁদাবাজী । চাঁদা না পেলে তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেবার হুমকী দেয়। অসহায় শাখাওয়াত হোসেন কিংকর্তব্য বিমূঢ় হয়ে পরেন। তিনি পরিস্থিতি সামালে কিছু অর্থ দেন এবং বসে হিসাব নিকাশ মেটাতে বলেন। কিন্তু চাঁদাবাজ সবুজ বালা তাতে রাজী নয়। মাঝে মাঝেই নতুন নতুন চাঁদাবাজদের দিয়ে ফোন করাতে থাকে। চাঁদাবাজদের দাবী অনুযায়ী অর্থ দিতে থাকেন। এক সময় চাঁদার জন্যে ফোনের চাপ বাড়ে পরিস্থিতির অবনতির আশংকায় শাখাওয়াত হোসেন দক্ষিণখান থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
এই নিয়ে আমাদের সারাদেশকে ব্যবসায়ী শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ফোনের পর ফোন করে নানান ধরনের বকাঝকা করে টাকা চায়। আমার পাওনা টাকা না দিয়ে ভূয়া বিল দিয়ে টাকার তাগাদার আড়ালে চাঁদা দাবী করে। প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেবার হুমকি দেয় সবুজ বালা। জানমালের ক্ষতির আশংকায় আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
অন্যদিকে সবুজ বালাকে চাঁদাবাজীর বিষয়ে প্রশ্ন করলে সে অনেকটা হুমকির সুরে বলে ‘ করেন নিউজ। কিছু হবে না। ‘ শ্রমিক সংগঠনের সাথে জড়িত কি না, এমন প্রশ্নে আরো বলেন, ” আপনেরে বলা লাগবে। ”
বিষয়টি নিয়ে আমাদের অনুসন্ধানী টিম আরো অনুসন্ধানে নেমে আরো সব চমকপ্রদ তথ্য পায়। এই বাটারা থানায় বসবাস করে এমন অনেকেই যারা নিজেদের সরকারের উপর মহলের সাথে যোগাযোগ রয়েছে বলে প্রচার করে। আর এই প্রচার প্রচারণা থেকে নানা ব্যক্তির নিকট থেকে সুবিধা নেয় । এদের একটি অংশ নানান অপকর্মে জড়িত। তারা নিজেদের স্বার্থের প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলের নামও ব্যবহার করে। উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হতে পারে এই সবুজ বালা জাতীয় ব্যক্তিরা ।
এই সাধারণ ডায়েরি বিষয়ে কথা হয় দক্ষিণখান থানার ওসি শামীম সিকদার এর সাথে। তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপরাধ বিজ্ঞস্নীদের ধারণা এখনই এদের লাগাম টেনে না ধরলে, এই চাদাবাজেরা সরকার তথা দলকে করবে বিতর্কিত।