আজ রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন
প্রতিনিধি –
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ৫০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ডিএম শামিমের এপিএস মামুন সিরাজুল কাদের ওরফে কাননকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মামুন সিরাজুল কাদেরকে দক্ষিণখান থানাধীন দেওয়ানবাড়ী থেকে বুধবার (২৮ এপ্রিল) রাতে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর জাকিয়া সুলতানা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণখান থানায় গত ৩০ মার্চ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কাননসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন- মিলন শেখ, জাহাঙ্গীর আলম ও মো. রাকিব। মামলাটি দক্ষিণখান থানায় হলেও তদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছে মহানগর গোয়েন্দা সংস্থা ডিবির নিকট।
দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিকদার মোহাম্মদ শামিম বলেন, গত ৩০ শে মার্চ সংরক্ষিত আসনের কাউন্সির কাননের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেছেন। ওই মামলাটি ডিবি তদন্ত করছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলাই কাননকে গ্রেফতার করেছে।
অপরদিকে মামলার বিষয়ে জানতে সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর জাকিয়া সুলতনা মুঠোফোনে বলেন, হ্যা আমি কাননের বিষয়ে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মহোদয়কে জানালে তিনি মামলা করতে বলেন। যেই বিষয় নিয়ে ৫০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং তার লোকদের সাথে বাধাবাধি তা হলো মহিলা কাউন্সিলর জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট, ওয়ারিশান সার্টিফিকেট এবং অন্যান্য সার্টিফিকেট দেবার বৈধতা আছে কি না। আর সেই প্রশ্ন করা হয় জাকিয়া সুলতানাকে। তাতে আইনের কোথাও বাধা নেই বলে তিনি জানান।
এদিকে মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ মার্চ রাত ১১টায় কাউন্সিলর জাকিয়া সুলতানা তার ফেসবুকে দেখতে পারেন- ‘মামুন সিরাজুল কাদের ওরফে কানন তার ফেসবুকে সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরের প্রতারণা (Reserve Councilors Cheating) শিরোনামে একটি পোস্ট শেয়ার করেন। মিলন শেখ তার ফেসবুকে করেন- ‘সচেতন হোন, সঠিক জায়গা থেকে সেবা নিন। অন্যথায় আপনিও হতে পারেন এমন হয়রানির শিকার।’ লিখে একটি পোস্ট শেয়ার করেন। এছাড়াও মো. রাকিব তার ফেসবুকে নারী কাউন্সিলরের দেওয়া নাগরিক সনদপত্র ও মিথ্যা জিডির কপি পোস্ট করেন।
মামলায় তিনি দাবি করেন- ‘ তারা ফেসবুকে তার নাম ব্যবহার করে পোস্ট ও শেয়ার করেছে। যাহা তার জন্য মানহানিকর, যেহেতু জাকিয়া সুলতানা একজন জনপ্রতিনিধি।
অন্যদিকে এপিএস কাননের গ্রেফতার নিয়ে ডিএনসিসি’র ৫০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ডিএম শামীম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উদ্দেশ্যমূলক ভাবে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর জাকিয়া সুলতানা নিয়মের বায়রে জন্মনিবন্ধন,মূত্যু সনদ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আমার এপিএস কানন বিষয়টি নিয়ে কথা বলায় মামলা করে তাকে গ্রেফতার করানো হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন আমি এলাকায় ৭০ ভাগ মাদকের অস্তিত্ব নির্মূল করেছি। এতেই অনেকে ঈর্ষান্বিত। তিনি আরো বলেন, এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের সকল সেবা নিশ্চিত করতে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে কাউন্সিলর ডিএম শামীম এর কিছু দৃশ্যমান সেবা পরিলক্ষিত হচ্ছে বলেও ওরার্ডবাসীদের কয়েকজন জানান।
অন্যদিকে মিডিয়া এবং কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, নারী কাউন্সিলর জাকিয়া সুলতানা কাউন্সিলর হবার পর থেকেই ত্রাণ বন্টনে করোনাকালীন সময়ে তার লোকেরা সাহায্যপ্রার্থীকে প্রহার,সাংবাদিককে আটকে রাখা, অটো গাড়ীতে চাদাবাজী, এলাকার হাজী ক্যাম্প ও এয়ারপোর্টের ফুটপাত দখল করে দোকান বসিয়ে চাদা তোলার অভিযোগ রয়েছে বিস্তর। যদিও এই বিষয়গুলো নিয়ে জাকিয়া সুলতানার কাছে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন আমি জনগনের সেবায় নিয়োজিত দেখে অনেকেই শত্রু হয়ে উঠছে।
পরিস্থিতি বলছে। নারী কাউন্সিলর এর সাথে কাউন্সিল এবং তার সমর্থকদের এই পরিস্থিতি বজায় থাকলে নাগরিক সেবা বাধাগ্রস্ত হবে। তাই দ্রুতই মিটিয়ে ফেলা উচিত।