আজ মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০১:৪১ অপরাহ্
প্রতিনিধি –
রাজধানী ঢাকার উত্তরায় অবস্থিত একটি ইটভাটা কোম্পানির অভ্যন্তরে চলছে এম এল এম ব্যবসার আদলে প্রতারণার ব্যবসা। তাও আবার বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলাল মোর্শেদ এর নাম ব্যবহার করে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এবং তথ্য যাচাই করতে জনাব বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলাল মোর্শেদ এর ফোন নম্বর চাইলে, প্রতিষ্ঠানের কথিত সিও ইকবাল আহমেদ তা দিতে অস্বীকার করেন।
মূলত পাওনা টাকা উত্তলনের জের ধরে, এম,ই,সি ইন্জিনিয়ার্স এন্ড কনস্ট্রাকশন লিঃ নামের একটি কোম্পানির ম্যানেজার শেখ আনছার আলী নামক এক ব্যাক্তিকে মারধর করে উক্ত ব্রান্ড বিল্ডার্স নামের এম এল এম কোম্পানির সিও ইকবাল আহমেদ ও সেলস অফ হেড আব্দুর রহিম । আর এই মারধরের গহটনায় উত্তরা পূর্ব থানার অভিযোগের দায়েরের পর বিষয়টি সামনে আসে । সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানায় উত্তরায় ব্রান্ড বিল্ডার্স লিঃ নামক প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে উক্ত অভিযোগকারী প্রতিষ্ঠান সর্বসাকুল্লে মোট ৮,৬৯,১২৫.০০ টাকা পাওনা হয়। সেই টাকা আদায়ের লক্ষে পাওনাদার প্রতিষ্ঠানটি বারংবার নোটিশ প্রদান করলেও সে টাকা বুঝিয়ে পায় না। বার বার টাকা দেবার তারিখ মিস করে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে। তবে সর্বশেষ টাকা পরিশোধের তারিখ বেঁধে দেওয়া হয় গত ১০-১১-২০২১ ইং রোজ বৃহস্পতিবার। পাওনাদার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার জানান, তাদের দেওয়া তারিখ মোতাবেক আমি বৃহস্পতিবার ১১ ঘটিকার সময় ব্রান্ড বিল্ডার্স লিঃ অফিসে গেলে প্রতিষ্ঠানের হেড সেলস অফিসার আব্দুর রহিম এবং প্রধান কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল আহমেদ টাকা দেবার নাম করে ডেকে নিয়ে উক্ত বাদী আনছার আলীকে অপমান ও মারধর করে। পরে বাদী সেখান থেকে বের হয়ে টঙ্গীতে শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয় বলে চিকিৎসা পত্র সূত্রে জানা যায়। চিকিৎসা পত্র সহ রাতে আনুমানিক ১১টায় উত্তরা পূর্ব থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন বাদী । তবে ব্রান্ড বিল্ডার্স লিঃ এর প্রধান কর্মকর্তা ইকবাল আহমেদ গণমাধ্যমকে মারধরের বিষয়ে অস্বীকার করে টাকা পাওনার বিষয় নিশ্চিত করনে। উক্ত ইকবাল আহমেদ বলেন, যে তারা আমার কছে ৫,৮৫,০০০ টাকা পায়।
এইদিকে তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে এমন অসংখ্য পাওনাদার ভীর করে মাঝে মাঝেই প্রতিষ্ঠানটির সমনে। আর একটু ভেতরের খবর নিতে গেলেই আসে আরও মূল তথ্য। এই প্রতিষ্ঠানটি অফ সিজনে অগ্রিম অর্থ সংগ্রহ করে, সিজনে স্বল্পমূল্যে ইট দেবে বলে। যেমন তারা উৎপাদন করতে পারে বা উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে ৫ লক্ষ পিস। কিন্তু অগ্রিম নেওয়া সংগ্রহ করা হয় কয়েক কোটি পিসের। সিজনে এই অগ্রীম অর্থ দাতা ক্রেতাদের ইটের অর্ডার ডেলিভারি না দিয়েই নগদে অন্য ক্রেতাদের নিকট বিক্রি শুরু করে। ফলে বাজার থেকে অগ্রীম দেওয়া ক্রেতারা পরে বিপাকে। এই ইট ক্রয় বিক্রয়ের মধ্যেই কোটি কোটি টাকার গায়ে লেভেল লাগে মানিলন্ডারিংয়ের এর।
অন্যদিকে অভিযোগের বিষয়ে উত্তরা পূর্বথানা অভিসার্স ইনচার্জ বলেন, এটা তদন্ত সাপেক্ষে আইনআনুক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। এই অভিযোগ তদন্ত অফিসার এস আই আব্দুর রহমান এর সাথে কথা বলে জানা যায় তিনি বিবাদী পক্ষের সাথে মুঠোফোনে এ বিষয়ে কথা বলেছেন বলে জানালেও বিবাদী জানান এস আই আব্দুর রহমান তার প্রতিষ্ঠানে গিয়েছিলেন। এ ক্ষেত্রে দ্বায়িত্ব রত এস আই এবং বিবাদীর কথার কোন মিল পাওয়া যায়নি । তাই এই লুকোচুরির পরিপ্রেক্ষিতে ধরে নেওয়া যায় তদন্ত কর্মকর্তা এবং বিবাদীর সখ্যতায় ভেতরে ভেতরে ইদুর বিড়াল খেলা চলছে। তদন্ত কর্মকর্তার দেওয়া তথ্যের গড়মিলে সন্দেহের উদ্বেগ হয় যে এই বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্ত হবে কি না?