আজ রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন
বোদা থানার পেইজ থাকে –
রাত ৪ঃ৩০ মিনিট! ফজরের আযানের অপেক্ষায়। রাতের পেট্রোল পাটি ডাকবাংলোর পাশে বাইক সহ দুজন ব্যক্তিকে পরামর্শ করতে দেখতে পায়। তাদের জিজ্ঞাসা করতেই ভদ্রলোক দুজন কারেন্ট মিস্ত্রি এবং হেলপার বলে পরিচয় দেয়। সন্দেহের দৃষ্টিতে একটু তাকাতেই অপরাধীর বুঝতে বাকি থাকে না একজন দৌড় দেয়, অপরজন ধরা পরে ।
বডি সার্চ করে ৪ টি মোবাইল সেট এবং একটি স্কুড্রাইভার পাওয়া যায়।
মোবাইলে কল করতেই অপর প্রান্তে রিসিভ করে হাউমাউ করে কান্নার শব্দ। জানা যায় গেলো রাতে ছোট ব্যবসায়ী জনৈক চন্দন, রাতে খাবার খেয়ে ঘরে শুয়ে পড়ে। গভীর রাতে ঘরের ভিতর আলমারীতে কিছু একটা নড়াচড়ার শব্দ পায় তার স্ত্রী। চোখ খুলে ছায়ার মত কিছু একটা নড়াচড়া দেখে ভয়ে চিৎকার দিলে ছায়া খাটের নিচে যায়। লাইট ওন করে দেখে খাটের নিচে মেঝেতে নিচের দিকে নতুন দরজা। ঘটনাটি তাদের আর বুঝতে বাকি থাকে না। লোকজন ও চলে আসে আলমারি চেক করে দেখতে পায় বিশ হাজার টাকা নেই। স্বর্নের চেইন অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে।
অপর একটি ফোনে কল করে একই অবস্হা । এই ব্যক্তিটির নামও চন্দন পাশাপাশি গ্রাম। সেও জানায় বাড়িতে মেহমান আসায় একই ঘরের ভিতরে দুটি মোটর সাইকেল ও মেহমান ছিলো। গভীর রাতে জাগনা পেলে ঘরের ভিতরে দেখতে পায়, সিঁধ দিয়েছে চোর। চেঁচামেচি করলে সবার ঘুম ভেংগে যায়। দেখতে পায় মেহমানের ফুল প্যান্ট এবং জ্যাকেট নাই। প্যান্টের মানি ব্যাগে ৪ হাজার টাকা ছিলো সেটা সহ নিয়ে গেছে,
তবুও তাদের মনে দুঃখ নেই বরং তৃপ্তির হাসি দেখা গেলো এবং নিজেরাই বলাবলি করছে, “ভাগ্যিস মোটরসাইকেল চোর নেয়নি”!
যেহেতু চুরি যাওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে পাশ্ববর্তী ঠাকুরগাঁও জেলায় এবং চোর ধরা পড়েছে বোদা থানায়। বাড়ির মালিকদের মামলা দেয়ার জন্য বলা হলে ওনারা কোন ঝামেলায় যাবেন না শুধু মালামাল ফেরত চায়।
এখন পুরোদায় যেহেতু পুলিশের তাই সহযোগিতা না পাওয়ায় মালামাল ফেরত না দিয়ে মালামাল সহ আসামিকে কাঃবিঃ ১৫১ধারায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হ’ল!!