আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে পুড়ে গেছে কৃষকের প্রায় ১০ একর আবাদি জমির বোরো ধান।
ভাটার মালিকপক্ষ এ ক্ষতিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ঘটেছে বলে দাবি করলেও কৃষি অফিস জানায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগে নয় ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসের তাপে পুড়ে গেছে ওইসব জমির ধান।
জানা গেছে, উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের বালাবাড়ী কিশামতবানু এলাকায় অবস্থিত ওয়ারেস ব্রিকস ইটভাটার চুল্লি থেকে গত বুধবার রাতে বের হওয়া গ্যাসে পুড়ে গেছে ওই এলাকার অন্তত ১০ একর জমির ধান ও ফলসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ।
সরেজমিন দেখা যায়, ইটভাটা থেকে যত দূর চোখ যায় প্রায় সব জমির ধান পুড়ে সাদা রঙ ধারণ করেছে৷ হঠাৎ উঠতি ফসলের এমন ক্ষতিতে কৃষকরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন৷
এ সময় গোলাপ উদ্দিন (৬০) নামে এক কৃষক জানান, ধারদেনা করে তিনি ১৬ শতাংশ জমিতে ধান বুনেছিলেন। ফসলও ভালো হয়েছিল। আশা ছিল এ ধান দিয়ে সারা বছর পেটের ভাত চলবে। কিন্তু হঠাৎ পার্শ্ববর্তী ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে পুড়ে গেল সে স্বপ্ন।
শুধু গোলাপ উদ্দিন নয় ওই এলাকার আব্দুস সালাম, অহিজল হক, আ. রাজ্জাক, একরামুলসহ ৩০-৩৫ জন কৃষকের প্রায় ১০ একর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী গ্রামের আম, কাঁঠালসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ও ফল বিষাক্ত গ্যাসে পুড়ে গেছে।
ইটভাটার গ্যাসের কারণে ক্ষতি হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ইটভাটার ম্যানেজার জাহিদ হোসেন বলেন, এটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের পুড়ে গেছে। আর যদি গ্যাসেও পুড়ে যায়ও তা হলে সেটি আমরা আর কৃষকরা বুঝব। আপনারা এখানে কি করতে আসছেন বলে সাংবাদিকদের ধমক দেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে ওয়ারেস ব্রিকসের মালিক ওয়ারেস আলীর মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষাণ দাস বলেন, ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে ওই এলাকায় ধানের ক্ষতি হয়েছে। কৃষকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষতি নিরুপণ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।