আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২২ পূর্বাহ্ন
ডেক্স নিউজ – নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলায় চার সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের ঘটনার মূলহোতা ও ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য রুহুল আমিনসহ দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
২ জানুয়ারি, গভীর রাতে নোয়াখালী সদর ও সেনবাগ উপজেলা থেকে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয় । আলোচিত এই গণধর্ষণ অপকর্মের মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করা হলো।
জানা যায় ,ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় নির্বাচনের দিন রাতে ওই নারীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ ও নৃশংসভাবে জখম করার ঘটনায় রুহুল আমিনকেই নেতৃত্বদাতা হিসেবে অভিযুক্ত করে আসছিলেন তার স্বজনরা । জানা যায় রুহুল আমিন সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক । ঘটনার শুরুতেই সেই নারীর স্বামীর দায়ের করা মামলার এজাহারে কৌশলে বাদ দেওয়া হয় রুহুল আমিনের নাম। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল সমালোচনার মুখে এবং সরকারের পক্ষ থেকে কড়া অবস্থান জানিয়ে দেওয়ার পর রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করা হলো ।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, রাতে পুলিশের দু’টি দল সদর উপজেলার উত্তর ওয়াপদার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রুহুল আমিনকে ও সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারের ৫ নং আসামি বেচুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার বাকি আসামিদেরও গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
ওই গৃহবধূ এবং তার স্বজনদের অভিযোগ, রোববার (৩০ ডিসেম্বর) নির্বাচনের দিন সেই নারী ধানের শীষে ভোট দিয়ে ফেরার পথে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন। এরপর রাতে রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ১০ জন মিলে ওই গৃহবধূর বাড়িতে গিয়ে তার স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে রেখে তাকে বাইরে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করেন। এছাড়া ওই দম্পতি এবং তাদের সন্তানদের পিটিয়ে জখম করেন তারা ।
এরপর সকালে সেই নারীকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন হাসপাতালের চিকিৎসকরা সেই নারীকে গণধর্ষণ ও পিটিয়ে জখম করার আলামত পাওয়ার কথা জানান।
তার প্রেক্ষিতেই বুধবার রাতে রুহুল আমিনসহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হলো। এর আগে গ্রেফতার তিন আসামি হলেন সুবর্ণচরের মধ্য বাগ্যা গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে সোহেল (৩৫), মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে স্বপন (৩৫) ও একই গ্রামের আহমদ উল্লার ছেলে বাসু (৪০)।
এ নিয়ে পরের দিন ৩১ ডিসেম্বর সেই নারীর স্বামী চরজব্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সরকারের পক্ষে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও জানিয়ে দেন, গণধর্ষণের ঘটনায় কেউ রেহাই পাবে না। এ বিষয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে । পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর প্রশাসন রুহুল আমীনকে গ্রেফতার করে ।