আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৯ অপরাহ্
ডেক্স নিউজ -নিজেদের এবং মূল সংঘঠনের বহুবিভক্ত ধারার মধ্যে নাক উচিয়ে বেচে থাকার চেষ্টায় রত বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য ছাত্র সংঘঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল । তাদের এমন স্থবিরতায় চাঙ্গা করতেই সন্মেলনের ডাক দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ । রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে , ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা নির্বাচনের এ কথা জানান নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন। ছাত্রদলের একাংশের নেতাদের বিক্ষোভের মধ্যে আগামী ১৫ জুলাই সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করেছে বিএনপি । ভোট গ্রহণের স্থান এখনো ঠিক করা হয়নি। ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট গ্রহণ হবে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সাবেক ছাত্রদল নেতা এবং বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন সন্মেলন উপলক্ষে একটি কর্ম তালিকা তুলে ধরেন , ২৪ জুন ভোটার তালিকা প্রকাশ, ২৫ জুন ভোটার তালিকার বিষয়ে আপত্তি গ্রহণ, ২৬ জুন চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, ২৭ ও ২৮ জুন প্রার্থীদের জন্য মনোনয়নপত্র বিতরণ, ২৯ ও ৩০ জুন প্রার্থীদের কাছ থেকে মনোনয়নপত্র গ্রহণ, ১, ২ ও ৩ জুলাই প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই, ৪ জুলাই প্রার্থীদের খসড়া তালিকা প্রকাশ, ৫ জুলাই প্রার্থীদের সম্পর্কে আপত্তি গ্রহণ, ৬ জুলাই প্রার্থীদের সম্পর্কে আপত্তি নিষ্পত্তি, ৭ জুলাই প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ এবং ১৫ জুলাই নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। ১৫ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে । অন্যদিকে ভোট গ্রহণের স্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে ; বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘ভোট গ্রহণের স্থান এখনো ঠিক হয়নি। আর যে জায়গায় আমাদের সুবিধা হবে, সে জায়গায় আমরা করব। দু-এক দিনের মধ্যে এটি জানানো হবে।’ আরেক প্রশ্নে তিনি ছাত্রদলের বিক্ষুব্দ নেতা কর্মীদের বিষয়ে বলেন ,কমিটি বিলুপ্তির পর বিক্ষুব্ধ ছাত্রনেতাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য কার্যালয়ে থাকেন। তাঁকে টার্গেট করা সমীচীন নয়, এটি শৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে না। তাই এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। দল যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে, সেটি যথাযথ সিদ্ধান্ত । আগামী ১৫ জুলাই ভোট গ্রহণের পরই নির্বাচনের ফল পাওয়া যাবে। কোন কোন পদে নির্বাচন হবে, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুধু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন হবে। সাতজন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য হবেন বলেও জানান তিনি। মূলতঃ গত ৩ জুন রাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠায় বিএনপি। এতে আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের কথা বলা হয়। নতুন কমিটিতে নেতা হওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ২০০০ সাল থেকে পরবর্তী যেকোনো বছরে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে বলে জানানো হয়। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ১১ জুন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ করে ছাত্রদলের বিলুপ্ত কমিটির একাংশ। এরপর থেকে তাঁরা বিভিন্ন ধরনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে সাবেক ছাত্রদল নেতা ও বিএনপি নেতাদের মধ্যে ছিলেন রুহুল কবির রিজভী, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের নেতা রাজীব আহসান, আকরামুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। হঠাত ছাত্রদলের সন্মেলনে ভোটের মাধ্যমে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের ঘোষনায় রাজনৌতিক মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে । অনেকেই মনে করছেন আন্দোলনের ঘোষনা দিয়ে এবার হয়ত ঘুরে দাড়াতে চাইছে । কিন্তু অপেক্ষা করতে হবে সরকার তাদের উপযুক্ত সময়ে নতুন কোন ভ্যাল্কী দিয়ে পথহারা করে কিনা ।