আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩০ অপরাহ্
ষ্টাফ রিপোর্টার
একনেক সভায় ( ৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার) ভ্যাকসিন কেনাসহ মোট ৭টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় গণভবন থেকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে শেরে-বাংলা নগরে মন্ত্রিসভা কমিটি পরিষদ সম্মেলনকক্ষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, এই বছরের ফেব্রুয়ারি-ডিসেম্বরের মধ্যে ভ্যাকসিন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে পরিকল্পনা কমিশনকে অবগত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে, ঠিক কোন দেশ থেকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে তা এখনো জানা যায়নি।
এর আগে, সোমবার (৪ জানুয়ারি) অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের সাময়িক অনুমোদন (ইইউএ) দেন।
কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালক আবু হেনা মোরশেদ জামান বলেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকা বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহারের জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক গতকাল (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের সাময়িক অনুমোদন (ইইউএ) দিয়েছেন।
এদিকে, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমোদনের পর সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি বাংলাদেশে ব্যবহারের আর কোনো বাধা থাকছে না। ভারতীয় সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশে ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়ার এক মাসের মধ্যে তাদের টিকা সরবরাহ করতে হবে বলে জানিয়েছেন বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেছেন, চুক্তি মোতাবেক এখন সেরাম ইনস্টিটিউটকে ধাপে ধাপে তিন কোটি ডোজ টিকা বাংলাদেশকে সরবরাহ করতে হবে।
এইদিকে ধারণা করা হচ্ছে, এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে আগামী বছরের প্রথম থেকেই বাংলাদেশর হাতে ভ্যাকসিন ব্যবহার শুরু হবে। বাচবে কোটি মানুষের জীবন।